সিভিক ব্যবহার থেকে ক্ষতিপূরণ, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইকোর্টকে তথ্য দিতে হবে রাজ্যকে

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের বহু জায়গা। তার জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের নাম ও তালিকা সহ রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালত অবমাননা অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেই সংক্রান্ত মামলায় হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ, প্রাণহানি, ব্যালট পেপার লুট, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সমস্ত ঘটনায় আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের পাশপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। তাদের মামলায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যেমন প্রশ্ন ওঠে তেমনি রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মান্যতা দেয়নি সরকার ও নির্বাচন কমিশন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত মামলায় সিদ্ধান্ত জানাতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

মূলত বিরোধীদের অভিযোগ, এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টে দিলেও কার্যত তা না মেনে জেলায় জেলায় বুথে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ভোট করানো হয়। অথচ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ভোটের ডিউটি দেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং অধীর চৌধুরী। এর পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্র বাহিনীকে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়নি। যার ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা চেয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এছাড়াও কত জন হোমগার্ড ভোটের কাজে নিযুক্ত ছিল? কোন কোন মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না? এই সমস্ত বিষয়ও হলফনামায় জানাতে হবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। তারপরে কলকাতা হাইকোর্ট অবমাননা রুল জারি করবে, নাকি আর্জি খারিজ করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। বিরোধীদের মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়া, মামলায় হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তোলা হয়।

এছাড়াও কত জন হোমগার্ড ভোটের কাজে নিযুক্ত ছিল? কোন কোন মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না? এই সমস্ত বিষয়ও হলফনামায় জানাতে হবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে। তারপরে কলকাতা হাইকোর্ট অবমাননা রুল জারি করবে, নাকি আর্জি খারিজ করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। বিরোধীদের মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়া, মামলায় হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তোলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *